রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা না থাকায় করোনা রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। ঝুঁকি না নিয়ে তীব্র শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে রোগী ও স্বজনদের অতিরিক্ত খরচের পাশাপাশি পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
জানা যায়, অক্সিজেন সরবরাহের ঘাটতি মেটাতে গত বছরের ২৫ নভেম্বর ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে তিন কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের কাজ পেয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সপেক্টা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। ইতিমধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে ৬ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতার অক্সিজেন ট্যাংক। কিন্তু বর্তমানে ধীরগতিতে চলছে পাইপ স্থাপনের কাজ। শেষ পর্যায়ে এসে সামান্য কিছু কাজের অভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ফলে সিলিন্ডার দিয়ে করোনা রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।
এ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা করোনা রোগীর স্বজন আমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট্রাল অক্সিজেন না থাকায় অতিমাত্রার শ্বাসকষ্টের অনেক রোগীদের বরিশাল যেতে বলা হয়।
অন্য এক রোগীর স্ত্রী শিমুল আক্তার বলেন, আমার রোগীর জন্য হাসপাতালের বাহির থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে অক্সিজেন সিলিন্ডার এনেছি।
সদর হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডে করানো উপসর্গ নিয়ে ভর্তি থাকা রোগীর যতক্ষণ পর্যন্ত রেপিড টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত সেই রোগীর বেডে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ করেছেন ভর্তি থাকা অনেকে রোগীর স্বজনরা।
সেন্ট্রাল অক্সিজেন না থাকায় চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট আবুয়াল হাসান।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ শেষ করার জন্য বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কাজের ধীরগতির বিষয়টি স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকেও জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এই প্লান্টে অক্সিজেন উৎপাদন চালু না থাকায় প্রতিদিন হাসপাতালের জন্য ২০টি বড় আকারের সিলিন্ডারে অক্সিজেন বরিশাল থেকে ভরে আনতে হচ্ছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা গোলাম মোর্শেদ বলেন, খুব শীঘ্রই কাজ শেষ হবে। ১০ হাজার ৪৩৪ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এই প্লান্টের কাজ শেষ করে ট্যাংকিতে একবার লিকুইড ভরা হলে তা থেকে উৎপাদিত অক্সিজেন ১০০ জন রোগী তিন মাস ব্যবহার করতে পারবেন।
Leave a Reply